বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, বাণী, কবিতা এবং ক্যাপশন

আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় ভিজিটর - MR Laboratory এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম । আজকে আমি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, বাণী, কবিতা এবং ক্যাপশন নিয়ে আলোচনা করে এই আর্টিকেল সম্পন্ন করব । আরর্টিকেলের মূল বিষয় বস্তু সম্পর্কে জানতে পেইজ সূচি তালিকা দেখুন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, বাণী, কবিতা এবং ক্যাপশন সম্পর্কে আরো জানতে গুগলে সার্চ করুন - MRLaboratory.com

 

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, বাণী, কবিতা এবং ক্যাপশন

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, বাণী, কবিতা এবং ক্যাপশন। বাংলার এই অবিসংবাদিত নেতা , দুঃখী মানুষদের  মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। এদেশের গণমানুষের মুক্তির সংগ্রামে তিনি ছিলেন অগ্রনায়ক বীর সেনানী। অনেকেই তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকে প্রতি বছর। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর বাঙালি অর্জন করেছে মহান স্বাধীনতা। তার এই অবদান বাঙালি জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে আজীবন স্মরণ রাখবে। প্রতিবছর ১৭ ই মার্চ মহান এই নেতার জন্মদিন বিশেষ ভাবে উদযাপন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। আপনারা যারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক রয়েছেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী তারা সকলেই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন।

১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু এক মধ্যবিত্ত শিক্ষিত পরিবারে বেড়ে ওঠেন। এরপরে গ্রামেই তিনি প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ বিদায়ের পর বঙ্গবন্ধু ঢাকা চলে আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদে ভর্তি হন। বাংলার ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক অনবদ্য নাম। তিনি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ নেতা এবং বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতাদের অন্যতম।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন | মহামানব বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন

১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ২০২২ নিয়ে শুভেচ্ছা, স্ট্যাটাস, উক্তি, ক্যাপশন ও বাণী। সম্মানিত পাঠক, আজকের এই নিবন্ধে আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে শুভেচ্ছা, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন আলোচনা করব। 17 ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আপনি যদি অনলাইনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি, ক্যাপশন, অনুসন্ধান করেন তাহলে এই নিবন্ধ আপনাকে স্বাগতম।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ লুৎফর রহমান এবং মায়ের নাম সাহারা খাতুন। গোপালগঞ্জের অত্যন্ত প্রভাবশালী এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার শৈশব কেটেছিল গোপালগঞ্জে। ছোটবেলায় তিনি গোপালগঞ্জের পারা যায় ঘুরে বেড়িয়েছেন, নদীর পানিতে ঝাঁপ দিয়েছেন। তখন কে ভাবতে এইভাবে একদিন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা তথা বাংলাদেশ স্বাধীনতার রূপকার। এই মহান নেতার জন্মদিন উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।


আরো পড়ুন ঃ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী


২০২২ সালে বঙ্গবন্ধুর কততম জন্মদিন?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হয়েছিল হাজার ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া তে। ২০২২ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী। এ দিনটিকে যেহেতু জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয় সেহেতু সে উপলক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই দিনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করবেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন রচনা

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন রচনা নিছে দেওয়া হলো । অনেকে বঙ্গবন্ধুর রচনা খুজেবেড়াচ্ছেন , তদের জন্য বঙ্গবন্ধুর রচা শেয়ার করা হলো । 

ভূমিকা :

বাংলার ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক অনবদ্য নাম। তিনি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ নেতা এবং বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতাদের অন্যতম। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। বাংলার এই অবিসংবাদিত নেতা আজীবন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাবার চেষ্টা করে গেছেন। তাই তাে কবি কণ্ঠে উচ্চারিত হয়—


“যতদিন রবে গৌরি, যমুনা, পদ্মা-মেঘনা বহমান

ততদিন রবে কীর্তি তােমার শেখ মুজিবুর রহমান।”


জন্ম ও শিক্ষা :

১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান গােপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক মধ্যবিত্ত শিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে শেখ মুজিব গােপালগঞ্জ মিশন স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই তিনি মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। ১৯৪৭ সালে শেখ মুজিব কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ বিদায়ের পর শেখ মুজিব ঢাকা চলে আসেন এবং ঢাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদে ভর্তি হন।


রাজনীতিতে দীক্ষা লাভ :

ছাত্র জীবনেই তাঁর রাজনীতিতে হাতে খড়ি ঘটে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে শেখ মুজিব অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন সময়ে প্রথম জেলে যান। পাকিস্তান আন্দোলনের সময়ে তিনি মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের নেতা হিসেবে বিশেষ অবদান রাখেন। তিনি দেখেছিলেন বাংলার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। তিনি সাহচর্যে এসেছিলেন বাংলার গৌরব ও গর্ব নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, শেরে বাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হক, শহীদ সােহরাওয়ার্দী ও মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রমুখের।


সংগ্রামী জীবন :

শেখ মুজিব তদানীন্তন আওয়ামী মুসলিম লীগে যােগদান করেন। এ সময়ে তিনি মওলানা ভাসানীর সঙ্গে কাজ করার সুযােগ পান। দেশের আপামর জনসাধারণের ন্যায্য দাবি আদায় করতে গিয়ে শেখ মুজিব বহুবার কারারুদ্ধ হয়েছেন। যুবক বয়সে তিনি একবার মন্ত্রী হয়েছিলেন, কিন্তু দলকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন তখন জাতীয় মুক্তি ও স্বায়ত্তশাসনের জন্য ৬ দফা কর্মসূচি ঘােষণা করেন।


আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা :

পাকিস্তাসের সামরিক ডিক্টেটর বাঙালির গণতান্ত্রিক চেতনাকে নস্যাৎ ও ৬ দফার আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে বাঙালির প্রাণপ্রিয় নেতা শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে। এ মামলাই ইতিহাসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসেবে অভিহিত। ১৯৬৯ সালের জানুয়ারি মাসে পূর্ব বাংলায় গণ অভ্যুত্থান ঘটলে ষড়যন্ত্রকারীরা শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।


১৯৭০-এর নির্বাচন ও ১৯৭১-এর স্বাধীনতা ঘােষণা :

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসনে বিজয়ী হয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পশ্চিমা কর্তৃপক্ষ আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করতে না দিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে এবং ১৯৭১ সালে ২৫এ মার্চের কালােরাতে শুরু করে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার একটি ঘােষণাপত্র চট্টগাম আওয়ামী লীগ নেতা হান্নান চৌধুরীর কাছে পাঠান। এ ঘঘাষণাপত্রই ২৬ ও ২৭ মার্চ যথাক্রমে হান্নান চৌধুরী ও মেজর জিয়া চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে পাঠ করেন।


মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু :

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমমনা রাজনৈতিক দল ও দেশের আপামর জনগণের সহযােগিতায় গড়ে তুলে মুক্তিবাহিনী, গঠন করে মুজিবনগর সরকার। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদের রক্ত ও ২ লক্ষ মা-বােনের ইজ্জতের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের হাল ধরেন শক্ত হাতে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির জনক হিসেবে বাংলাদেশ ও বিশ্বে লাভ করেন ব্যাপক পরিচিত।


শাসক হিসেবে বঙ্গবন্ধু :

সদ্য স্বাধীনপ্রাপ্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে অনেক কিছুর অভাব ছিল। বিশেষকরে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল খুবই নাজুক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অল্পদিনের মধ্যেই দেশকে মােটামুটি একটা ভালাে অবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে সক্ষম হন। তিনি যখন ব্যাপক অর্থনৈতিক সংস্কারে হাত দেন ঠিক সে মুহূর্তে (১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট) তাঁকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।


উপসংহারঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ভাগ্যাহত বাঙালি জাতির মুক্তির অকুতােভয় অগ্রদূত। তাঁর বলিষ্ঠ ও সাহসী নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আর তাইতাে বলা যায়, ব্যক্তি মুজিবের মৃত্যু হলেও মুজিবাদর্শের মৃত্যু নেই।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ভাষণ | বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ভাষণ

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ভাষণ : স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস ১৭ই মার্চ। আজকের এই দিনে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত মুজিববর্ষ উদযাপনের বছরে শিশু দিবস উপলক্ষে প্রাণপ্রিয় রাজশাহী মহানগরীসহ বাংলাদেশের শিশু-কিশোরসহ নাগরিকদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি অত্যন্ত মানবদরদী ও অধিকার আদায়ে আপোসহীন ছিলেন। স্কুলজীবন থেকেই তাঁর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি পরিলক্ষিত হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ের প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধীকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি। এ জন্য তাঁকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। তবুও বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে তিনি কখনো শাসকগোষ্ঠীর সাথে আপোস করেননি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রের সামনে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। ঐতিহাসিক ভাষণটি ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ৭ই মার্চের সেই ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন কবিতা

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন কবিতা আবৃতি করতে চাই অনেকে । বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বিভিন্ন জাইগায় বিভিন্ন কর্মসুচি পালিত হয় । এর মধ্যে অনেকে সুন্দর সুন্দর কবিতা এবং বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন কথা কবিতার মাধ্যমে আবৃতি করতে চাই । তাদের জন্য বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন কবিতা শেয়ার করা হলো । 

হে বঙ্গবন্ধু! শুভ হোক, আজ তোমার শুভ জন্মদিন,

তোমার চেতনায় গর্জে উঠুক দেশ ও জাতি এই দিন,

তোমাকে জানাই; অন্তস্থল থেকে ভালোবাসার সালাম,

তোমার কাছে হয়ে আছি; জানা-অজানা কত শত ঋণ।


যত দিন বাংলাদেশ আছে; আছে মানুষ এই বাংলায়,

ততদিন রাখবো মনে তোমায়, লাল-সবুজের পতাকায়,

ধরে রাখব জীবন দিয়ে তোমার গড়া সোনার বাংলাকে

শুনাব; তোমার ত্যাগের ইতিকথা বিশ্ববাসীকে প্রতিদিন।


যেদিন আমি প্রথম গিয়েছিলাম; কলেজ জীবনে

আরো তিন বন্ধুর সাথে ঢাকাস্থ বনানী গোরস্থানে,

তোমার পরিবারের সদস্যদের কবরের সারি দেখে

হতবাক হয়েছিলাম বলে মনটা হয়েছিল সেদিন মলিন।


এ কেমন করে সম্ভব হল? এ কেমন অকৃতজ্ঞতা ?

সইতে পারি না ভাবলে-সিরাজুদ্দৌলার মত ভাগ্য কথা,

যাঁর ঐতিহাসিক বাগ্মিতায় কবিতার মত ফুঁটে উঠে ছিল

আমাদের প্রাণের দাবি; রেসকোর্স ময়দানে- একদিন।


আমাদের জন্যে তুমি; শত্রুদের কারাকে করেছ বরণ

আমাদের জন্যে তুমি শেষাবধি দিয়েছ সপরিবারে জীবন,

প্রমান করেছো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তুমি-

শহীদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সত্যিই তুলনাহীন।


তোমার কবিতায় মুগ্ধ হয়েছিলাম; বাংলার স্বাধীনকামী জনতা

ঝাপিয়ে পড়েছিলাম; স্বাধীনতার জন্যে গড়েছিলাম- একতা,

যার কাছে যা ছিলো; তাই নিয়ে এগিয়েছিলাম- রণাঙ্গনে,

যুদ্ধের ন’মাস তোমার রূপরেখায় চলেছিলাম নিত্যদিন।


জানিনা! কি হতভাগা আমরা? কি হতভাগা দেশ ও জাতি?

বড় আফসোস হয়; দেশের জনকের সাথে করেছে- মীর জাফরী!

পলাশীতে হারিয়েছিলাম একদিন; সমূলে আমাদের স্বাধীনতা

তোমার যোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া হতাম বিলীন- দেশ হত না স্বাধীন।।


জাতির পিতা অবিসংবাদিত নেতার শুভ জন্মদিন,

বাংলার মানুষের হৃদয় থেকে মুছবেনা কোনদিন।

জাতী আজ স্মরণ করিছে তোমায় বিনম্র শ্রদ্ধায়,

তুমি থাকবে চিরঅমর হয়ে অনিঃশেষ ভালবাসায়।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন,

শিমুল পলাশ হাজারো ফুলে বসন্ত এত রঙিন।

পত্র-পল্লব পুষ্প বৃক্ষরাজি শুভক্ষণের তীব্র প্রতিক্ষায়,

ফুলের গন্ধে সুরের ছন্দে রঙে বর্ণে প্রকৃতি সাজায়।


হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি হে ক্ষণজন্মা নেতা,

তোমার জন্যই পেয়েছি মোরা প্রাণের স্বাধীনতা।

তুমি না হলে বাংলাদেশ হতোনা হে চিরঞ্জীব নেতা,

তাই বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সুতোই গাঁথা।


পাকিস্থানের শাষক গোষ্টির ২৪বছরের দুঃশাসন,

দিয়েছিলে অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ভাষন।

পরাধীনতার শিকল ভেঙে লিখে গেছো ইতিহাস,

আর যেন তাকে বিকৃত করার পায়না দুঃসাহস।


সাহসে, স্নেহে, ভালোবাসায়, মমতায়, দুর্বলতায়,

আপামোর বাঙালির স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রতিবাদী সত্ত্বায়।

তুমি থাকবে বাঙালির হৃদয়ে, অস্তিত্বে বহমান,

শ্রদ্ধাভরে স্মরিব তোমায় শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে উক্তি

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে উক্তি সবাই পছন্দ করে । আমদের মহা নায়ক বঙ্গবন্ধুর উক্তি পোস্ট করা হলো আপনাদের জন্য । বিভিন্ন বক্তিতায় এবং আজকে বিভিন্ন কথার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে উক্তি বলে থাকে । এতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে উক্তি সবাই জানতে চাই । তাদের জন্য বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে উক্তি শেয়ার করা হলো । 

আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি।  ব্যক্তিত্ব এবং সাহসিকতায় তিনিই হিমালয়। – ফিদেল কাস্ত্রো


আপোষহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব আর কুসুম কোমল হৃদয় ছিল মুজিব চরিত্রের বৈশিষ্ঠ্য – ইয়াসির আরাফাত


শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণী বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ। – গৌরী প্রসন্ন মজুমদার


“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”


হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি হে ক্ষণজন্মা নেতা,

তোমার জন্যই পেয়েছি মোরা প্রাণের স্বাধীনতা।

তুমি না হলে বাংলাদেশ হতোনা হে চিরঞ্জীব নেতা,

তাই বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সুতোই গাঁথা


বিশ্ব দুই শিবিরে বিভক্ত – শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে। শুভ জন্মদিন বঙ্গবন্ধু


এই স্বাধীন দেশে মানুষ যখন পেট ভরে খেতে পাবে, পাবে মর্যাদাপূর্ণ জীবন; তখনই শুধু এই লাখো শহীদের আত্মা তৃপ্তি পাবে। শুভ জন্মদিন বঙ্গবন্ধু


দেশ থেকে সর্বপ্রকার অন্যায়, অবিচার ও শোষণ উচ্ছেদ করার জন্য দরকার হলে আমি আমার জীবন উৎসর্গ করব। শুভ জন্মদিন বঙ্গবন্ধু


আমি যদি বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে না পারি, আমি যদি দেখি বাংলার মানুষ দুঃখী, আর যদি দেখি বাংলার মানুষ পেট ভরে খায় নাই, তাহলে আমি শান্তিতে মরতে পারব না। শুভ জন্মদিন বঙ্গবন্ধু


আরো পড়ুন ঃ শুভ সকাল | শুভ সকাল পিক , স্ট্যাটাস, ছবি, মেসেজ, কবিতা

বঙ্গবন্ধু জন্মদিনের ফেসবুক স্ট্যাটাস

বঙ্গবন্ধু জন্মদিনের ফেসবুক স্ট্যাটাস সবাই খুজে । ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু জন্মদিনের ফেসবুক স্ট্যাটাস সবাই ফেইসবুকে শেয়ার করতে চাই । সবাই চাই সুন্দর একটা স্ট্যাটাস ফেইসবুকে বন্ধুবান্ধবের মধ্যে শেয়ার করতে । তাই আপনাদের জন্য ফেইসবুকে শেয়ার করার জন্য বঙ্গবন্ধু জন্মদিনের ফেসবুক স্ট্যাটাস পোস্ট করা হলো । 

সারাজীবন যেন আমি তোর বন্ধু হয়ে পাশে থাকতে পারি। আজকের দিনটা অনেক মজায় উপভোগ করে কাটা। খুব ভালো থাকিস। ****জন্মদিনের শুভেচ্ছা বন্ধু****।


জন্মদিন প্রত্যেক বৎসর ঘুরে - ফিরে আসে। কিন্তু,,, তোমার মতো বন্ধু আমার জীবনে একবারই এসেছে। তুমি আমার জীবনে আসার জন্য আমি খুব আনন্দিত। তোমার এই স্পেশাল দিনে তোমাকে অনেক শুভেচ্ছা জানালাম। **** জন্মদিনের শুভেচ্ছা বন্ধু****


জীবনের সবচেয়ে ভালো ১টি উপহার হলো,,,, ১টি ভালো বন্ধু পাওয়া,,,,, যা সবাই পায়না। তাই তোমাকে বন্ধু হিসেবে পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ,,,,, *** জন্মদিনের শুভেচ্ছা বন্ধু ***


আমি বন্ধুত্বের সংজ্ঞা জানি না,,,,, কিন্তু, আমি জানি তু ইআমার বন্ধু। আমার সবথেকে ভাল বন্ধু..... *** জন্মদিনের শুভেচ্ছা বন্ধু ***


আশা করি,,, তোমার এই শুভ দিনটি কেকের মতো মিষ্টি হবে। এই বছরের তোমার সমস্ত ইচ্ছা যেন আল্লাহ পূরণ করে এবং তোমার সব স্বপ্ন সত্যি হোক। **হ্যাপি বার্থ ডে টু মাই ফ্রেন্ড**


জন্মদিন পত্যেক মানুষের জীবনের বিশেষ দিনের মধ্যে ১টি। আজকের তোমার সেই বিশেষ দিন,,,, জন্মদিনের অসংখ্য শুভেচ্ছা রইলো আমার প্রিয় বন্ধুটির জন্য। 


তর জন্যে ভালবাসা,,,,, লক্ষ গোলাপ জুঁই,,,,,,, হাজার লোকের ভিরে বন্ধু আমার,,,,, থাকবি হৃদয়ে তুই। ***শুভ জন্মদিন দোস্ত***


আজকের এই স্পেসাল দিন-এ হয়ে ওঠো আরও নবীন,,,,,,, ভালোবেসে জানাই তোমায় শুভ জন্মদিন ! ***শুভ জন্মদিন বান্ধবী***


সুখে কাটুক বন্ধু তোমার আজকের দিন,,,,,,,, জানাচ্ছি আজ বন্ধু তোমায় ------- শুভ জন্মদিন $$ jonmodiner status $$


শুভ জন্মদিন বন্ধু,,,,,,,,,, আশা করি আজকের এই দিবসটি তোমার জীবনে বয়ে নিয়ে আনুক আনন্দের বন্যা। ***শুভ জন্মদিন বন্ধু ****


আজকে তোমার এই জন্মদিনে সবকিছু হউক নতুন করে,,,, সুখের স্মৃতিটুক থাক কাছে,,,, দু:খগুলো যাক দুরে। জড়া জীর্ণ অতীতটাকে রেখোনা আর মনে নব উদ্দমে কাজ করো নবীন এই দিনে।


শুভ জন্মদিন বন্ধু। যেহেতু তুমি আমার সবচেয়ে ভালো একজন বন্ধু,,, তাই আমি দোয়া করি তোমার জীবনের সবকিছুই যেন অত্যন্ত ভালো হয় এবং সামনের জীবনে উপভোগ করতে পারো।


তোমাকে জানায় তোমার জন্মদিনের অঢেল শুভেচ্ছা এবং একটি সুন্দর এবং সফল বছর পার করার শুভেচ্ছা। ধন্যবাদ এত ভালো একজন বন্ধু হওয়ার জন্য।


তোমার মতো এমন বন্ধু কোটি টাকা দিয়েও কেনা সম্ভব নয়,,,,, তাই আশা করছি তোমার জন্মদিনের খুশি এবং মুহূর্তগুলোও তোমার কাছে অমূল্য হবে। *** জন্মদিনের শুভেচ্ছা বন্ধু ***


তোমার বন্ধুত্বে আমি মুগ্ধ,,,,,,,, আশা করি, যেমন আছো ঠিক তেমনি থাকবে সারাজীবন আমার বন্ধু হয়েই,,,,, শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা বন্ধু।


মানুষের দেহ যেমন আত্মা ছাড়া অর্থহীন,,,,, ঠিক তেমনি আমার জীবনে তোমার বন্ধুত্ব ছাড়া নিথর, অপরিপূর্ণ। আমার জীবনে পরিপূর্ণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিয়ে তোমায় জানাই শুভ জন্মদিনের অঢেল শুভেচ্ছা।


বন্ধু কখনও অবহেলা নয়,,,,, বন্ধুকে হ্রদয় মাঝে গেথে রাখতে হয়। বন্ধু হলো সুখ - দুঃখের সাথী, এমন বন্ধু রেখো না,,,,,,,,,,,,যে তোমার করে ক্ষতি।।। *** শুভ জন্মদিন প্রিয় বান্ধবী আমার***


আজ আমার সবথেকে ভালো বন্ধুটির জন্মদিন,,,,, আর এই বিশেষ দিনে তোমায় জানাই আমার হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে অনেক অনেক শুভেছা এবং আশা করছি আরও এমন শত শত জম্মদিন কাটাতে পারবো তোমার সাথে।


মুছে যাক সব দুঃখ.,,,,, ধুয়ে যাক কষ্ট আজকের এই জন্মদিনে হয়ে যাক তোমার সব খারাপ নষ্ট। ***জন্মদিনের শুভেচ্ছা****

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা 

অনেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা লিখেও গুগলে সার্চ করে । বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন উপায়ে গুগলে সার্চ করে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কিছু স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য । মানুষ ইতিহাস পড়লে সব কিছু ঠিকটাক মনে থাকে না সব সময় । তাই গুগলে সার্চ করে স্ট্যটাস, উক্তি , কবিতা ইত্যাদি খুজার জন্য । তাদের জন্য আমদের এই ওয়েবসাইটে সবকিছু শেয়ার করা হল । 

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিখ্যাত কবিদের কবিতা

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিখ্যাত কবিদের কবিতা ঃ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন কবি অনেক লিখেছেন জন্মদিন উপপলক্ষে । আমরা গুগল থেকে খুজে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে

অন্নদাশঙ্কর রায়

নরহত্যা মহাপাপ, তার চেয়ে পাপ আরো বড়ো

করে যদি যারা তাঁর পুত্রসম বিশ্বাসভাজন

জাতির জনক যিনি অতর্কিত তাঁরেই নিধন।

নিধন সবংশে হলে সেই পাপ আরো গুরুতর,


সারাদেশ ভাগী হয় পিতৃঘাতী সে ঘোর পাপের

যদি দেয় সাধুবাদ, যদি করে অপরাধ ক্ষমা।

কর্মফল দিনে দিনে বর্ষে বর্ষে হয় এর জমা

একদা বর্ষণ বজ্ররূপে সে অভিশাপের।


রক্ত ডেকে আনে রক্ত, হানাহানি হয়ে যায় রীত।

পাশবিক শক্তি দিয়ে রোধ করা মিথ্যা মরীচিকা।

পাপ দিয়ে শুরু যার নিজেই সে নিত্য বিভীষিকা।

ছিন্নমস্তা দেবী যেন পান করে আপন শোণিত।


বাংলাদেশ! বাংলাদেশ! থেকে নাকো নীরব দর্শক

ধিক্কারে মুখর হও। হাত ধুয়ে এড়াও নরক।

অন্নদাশঙ্কর রায়ের ছড়া

যত দিন রবে পদ্মা মেঘনা

গৌরী যমুনা বহমান

তত দিন রবে কীর্তি তোমার

শেখ মুজিবুর রহমান।


দিকে দিকে আজ অশ্র“গঙ্গা

রক্তগঙ্গা বহমান

নাই নাই ভয়, হবে হবে জয়

জয় মুজিবুর রহমান।


ধন্য সেই পুরুষ

শামসুর রাহমান

ধন্য সেই পুরুষ, নদীর সাঁতার পানি থেকে যে উঠে আসে

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে;

ধন্য সেই পুরুষ, নীল পাহাড়ের চূড়া থেকে যে নেমে আসে

প্রজাপতিময় সবুজ গালিচার মতো উপত্যকায়;

ধন্য সেই পুরুষ, হৈমন্তিক বিল থেকে সে উঠে আসে

রঙ-বেরঙের পাখি ওড়াতে ওড়াতে।

ধন্য সেই পুরুষ, কাহাতের পর মই-দেয়া ক্ষেত থেকে যে ছুটে আসে

ফসলের স্বপ্ন দেখতে দেখতে।


ধন্য আমরা, দেখতে পাই দূর দিগন্ত থেকে এখনো তুমি আসো

আর তোমারই প্রতীক্ষায়

ব্যাকুল আমাদের প্রাণ, যেন গ্রীষ্মকাতর হরিণ

জলধারার জন্যে। তোমার বুক ফুঁড়ে অহঙ্কারের মতো

ফুটে আছে রক্তজবা, আর

আমরা সেই পু®েপর দিকে চেয়ে থাকি, আমাদের

চোখের পলক পড়তে চায় না,

অপরাধে নত হয়ে আসে আমাদের দুঃস্বপ্নময় মাথা।


দেখ, একে একে সকলেই যাচ্ছে বিপথে অধঃপাত

মোহিনী নর্তকীর মতো

জুড়ে দিয়েছে বিবেক-ভোলানো নাচ মনীষার মিনারে,

বিশ্বস্ততা চোরা গর্ত খুঁড়ছে সুহৃদের জন্যে

সত্য খান খান হয়ে যাচ্ছে যখন তখন

কুমোরের ভাঙা পাত্রের মতো,

চাটুকারদের ঠোঁটে অষ্টপ্রহর ছোটে কথার তুবড়ি,

দেখ, যে কোন ফলের গাছ

সময়ে-অসময়ে ভরে উঠেছে শুধু মাকাল ফলে।

ঝল্সে-যাওয়া ঘাসের মতো শুকিয়ে যাচ্ছে মমতা

দেখ, এখানে আজ

কাক আর কোকিলের মধ্যে কোন ভেদ নেই।

নানা ছল-ছুতোয়

স্বৈরাচারের মাথায় মুকুট পরাচ্ছে ফেরেবক্ষাজের দল।


দেখ, প্রত্যেকটি মানুষের মাথা

তোমার হাঁটুর চেয়ে এক তিল উঁচুতে উঠতে পারছে না কিছুতেই।

তোমাকে হারিয়ে

আমরা সন্ধ্যায় হারিয়ে যাওয়া ছায়ারই মতো

হয়ে যাচ্ছিলাম,

আমাদের দিনগুলি ঢেকে যাচ্ছিলো শোকের পোশাকে,

তোমার বিচ্ছেদের সঙ্কটের দিনে

আমরা নিজেদের ধক্ষংসস্তূপে ব’সে বিলাপে ক্রন্দনে আকাশকে ব্যথিত

করে তুলেছিলাম ক্রমাগত; তুমি সেই বিলাপকে

রূপান্তরিত করেছো জীবনের স্তুতিগানে, কেঁননা জেনেছি

জীবিতের চেয়েও অধিক জীবিত তুমি।


ধন্য সেই পুরুষ, যাঁর নামের ওপর রৌদ্র ঝরে

চিরকাল, গান হয়ে

নেমে আসে শ্রাবণের বৃষ্টিধারা; যাঁর নামের ওপর

কখনো ধুলো জমতে দেয় না হাওয়া,

ধন্য সেই পুরুষ, যাঁর নামের ওপর পাখা মেলে দেয়

জ্যোৎস্নার সারস,

ধন্য সেই পুরুষ, যাঁর নামের ওপর পতাকার মতো

দুলতে থাকে স্বাধীনতা,

ধন্য সেই পুরুষ, যাঁর নামের ওপর ঝরে

মুক্তিযোদ্ধাদের জয়ধক্ষনি।


স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচিত


স্বাধীনতা, এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো

নির্মলেন্দু গুণ


একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে

লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে

ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে-

কখন আসবে কবি?

এই শিশু পার্ক সেদিন ছিল না,

এই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না,

এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না।

অথচ তখন প্রায় দুপুর গড়িয়ে গেছে যখন গম্ভীর মুখে

কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।

তা’হলে কেমন ছিল সেদিনের সেই বিকেল বেলাটি?

তা’হলে কেমন ছিল শিশু পার্কে, বেঞ্চে-বৃক্ষে, ফুলের বাগানে

ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হৃদয় মাঠখানি?

জানি, সেদিনের সব স্মৃতি মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত কালো হাত।

তাই দেখি কবিহীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজ

কবির বিরুদ্ধে কবি,

মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ,

বিকেলের বিরুদ্ধে বিকেল

উদ্যানের বিরুদ্ধে উদ্যান,

মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ….।


হে অনাগত শিশু, হে আগামী দিনের কবি

শিশুপার্কের রঙিন দোলনায় দোল খেতে খেতে তুমি

একদিন সব জানতে পারবে-আমি তোমাদের কথা ভেবে

লিখে রেখে যাচ্ছি সেই শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প।

সেদিন এই উদ্যানের রূপ ছিল ভিন্নতর,

না পার্ক না ফুলের বাগান-এসবের কিছুই ছিল না,

শুধু একখণ্ড অখণ্ড আকাশ যে-রকম, সে-রকম দিগন্ত প্লাবিত

ধু-ধু মাঠ ছিল দুর্বাদলে ঢাকা, সবুজে সবুজময়।

আমাদের স্বাধীনতাপ্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল

এই ধু-ধু মাঠের সবুজে।

কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে এই মাঠে ছুটে এসেছিল

কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক

লাঙল জোয়াল কাঁধে এসেছিল ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষক,

পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক,

হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত,

নি¤œ-মধ্যবিত্ত, কর–ণ কেরানি, নারী বৃদ্ধ বেশ্যা ভবঘুরে আর

তোমাদের মতো শিশু পাতা কুড়ানিরা দল বেঁধে।

একটি কবিতা পড়া হবে তার জন্য কী ব্যাকুল প্রতীক্ষা মানুষের।

‘কখন আসবে কবি?’ ‘কখন আসবে কবি?’


শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে

অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।

তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,

হৃদয়ে লাগিল দোলা

জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার সকল দুয়ার খোলা-

কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?

গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি:

“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের গান

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের গান ঃ সুন্দর একটা গান আপনি ১৭ই মার্চ আপনার কোন একটা অনুষ্টানে গাইতে পারবেন । 

আরো পড়ুন ঃ বাংলা শুভ রাত্রি জানানোর এসএমএস


১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের উক্তি, শুভেচ্ছা বার্তা ও স্ট্যাটাস, কবিতা

আজ ১৭ই মার্চ , আমাদের মহানায়কের জন্মদিন । এই দিনে আমাদের মহানায়ক পৃথিবীতে এসেছিল , তার কারনেই আমরা স্বাধীন একটা দেশ উপহার পেয়েছি । পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা । তার জন্মদিনে সবাই ফেইসবুকে , টুইটার ইন্সটাগ্রামে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের উক্তি, শুভেচ্ছা বার্তা ও স্ট্যাটাস, কবিতা শেয়ার করে । তাদের জন্য আমাদের এই পোস্ট ছিল । আশাকরি সবাই সবার আশানরুপ তথ্য পেয়েছেন । আমাদের ওয়েবসাটে আসার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং আমাদের সাথে থাকুন ।





আপনি আসলেই নিওটেরিক আইটির একজন মূল্যবান পাঠক । বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, বাণী, কবিতা এবং ক্যাপশন এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ । এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবস্যয় আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন । আরো পড়ুনঃ -

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, বাণী, কবিতা এবং ক্যাপশন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, বাণী, কবিতা এবং ক্যাপশন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, বাণী, কবিতা এবং ক্যাপশন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, বাণী, কবিতা এবং ক্যাপশন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, বাণী, কবিতা এবং ক্যাপশন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, বাণী, কবিতা এবং ক্যাপশন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, বাণী, কবিতা এবং ক্যাপশন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, বাণী, কবিতা এবং ক্যাপশন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, বাণী, কবিতা এবং ক্যাপশন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, বাণী, কবিতা এবং ক্যাপশন
পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান
comment url